শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগে কেউ কোনো তদবির করেনি। নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ থেকে সে রকম কোনো অভিযোগ পাইনি।’ প্রিসাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পয়সা খেলাম না, এটি কোনো সততা না। আইন মেনে চলা, অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি কি না, এটিও সততার মধ্যে পড়ে। আপনি সৎ থাকলে কেউ আপনাকে অবৈধ আবদারের সাহস পাবে না। এটি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে, আমি ভয় দেখাচ্ছি না।’ তিনি গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ সদরের কে কে গভ. ইনস্টিটিউশন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কবিতা খানম কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যালট ভোটারদের আমানত, তা যেন খেয়ানত না হয়। প্রিসাইডিং অফিসার, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের যেই নীতিমালা আছে, তা ভালোভাবে আয়ত্ত করবেন। উল্টাপাল্টা করলে প্রেসদের খেপিয়ে ফেলবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের সব শৃঙ্খলা নির্ভর করে প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর। যেসব কেন্দ্রে ভোট বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে ভোটগ্রহণ চলবে কি না। কমিশন এই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘দুটি আদালত কাজ করবে। এর মধ্যে একটি মোবাইল কোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করবেন, অন্যটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করবেন। এই দুটি আদালত তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ ছাড়া পাশে আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। ভোটাররা মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় ভোটাররা ভোট দেওয়ার ছবি তুলে প্রার্থীকে প্রদর্শন করে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেগেটিভ মেসেজ ছড়ায়। প্রার্থীদের প্রার্থী হিসেবে দেখবেন। ভয় দেখাচ্ছি না, স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। এবারের নির্বাচনে কোনো প্রকার ছাড় দিতে চাই না।’
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এইচ এম রকিব হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহাম্মেদ প্রমুখ।